বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন (বিএফএফ)-সমকালের যৌথ উদ্যোগে ১১ তম জাতীয় বিজ্ঞান বিতর্ক উৎসব ময়মনসিংহ জেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। ‘বিতর্ক মানেই যুক্তি বিজ্ঞানে মুক্তি’- স্লোগানে নগরীর ময়মনসিংহ জিলা স্কুল মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে এই উৎসব শুরু হয়।
বিতর্ক উৎসবের ফাইনাল রাউন্ড পরিচালনা করেন ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের উপসচিব (আইন) মহা: মশিউল আলম। তীব্র প্রতিযোগিতায় জয়ী হয় ময়মনসিংহ জেলা স্কুল। শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হন জয়ী দলের শিক্ষার্থী অরিজিত চৌধুরী মনন।
বিতর্কে অংশ নেওয়া দলগুলো হলো— ময়মনসিংহ জিলা স্কুল, বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মুকুল নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, গভ: ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, হালিমুন্নেসা চৌধুরানী মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, প্রিমিয়ার আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় ও জোবেদা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
সমকালের ময়মনসিংহের নিজস্ব প্রতিবেদক তানভীর হোসাইনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, শিক্ষা বোর্ডের সচিব প্রফেসর মো: সফিউদ্দিন সেখ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আব্দুল্লাহ আল মামুন, এডভান্সড রেসিডেন্সিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ কামরুল হাসান মিলন প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম তার বক্তব্যে বলেন, বিজ্ঞান আমাদের সামনে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। বিতর্ক আমাদের সেই বিজ্ঞানকে প্রশ্ন করতে, বিশ্লেষণ করতে এবং আত্মস্থ করতে শেখায়। আমি আশা করব তোমরা যারা বিতর্কে অংশ নিয়েছ তারা ভবিষ্যতেও প্রতিটি ক্ষেত্রে যুক্তির পথ ধরে চলবে এবং বিজ্ঞানের মাধ্যমে দেশ ও সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখবে। তোমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের উপসচিব (আইন) মহা: মশিউল আলম তার বক্তব্যে বলেন, আজকের ফাইনালে দুই দলের প্রতিযোগিতামূলক এবং মানসম্মত যুক্তি সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। উভয় দলই তাদের বিষয়ের সপক্ষে চমৎকার তথ্য ও যুক্তির জাল বুনেছে। বিতর্কের মূল লক্ষ্য জয়-পরাজয় নয়, বরং একটি বিষয়ে গভীর জ্ঞান অর্জন এবং সেটি গুছিয়ে উপস্থাপন করার দক্ষতা তৈরি করা। আমি আশা করি, তোমরা বিতর্কের এই মঞ্চ থেকে যে যুক্তিবাদী মানসিকতা অর্জন করলে তা তোমাদের দৈনন্দিন জীবনেও প্রতিফলিত হবে। বিতর্ক শুধুমাত্র মেধার লড়াই নয়, এটি মননশীলতার পরিচায়ক।
প্রথম রাউন্ড এবং সেমিফাইনাল শেষে ফাইনাল রাউন্ডে অংশ নেয় ময়মনসিংহ জিলা স্কুল ও বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
ফাইনাল রাউন্ডে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন আনন্দ মোহন কলেজের অধ্যাপক স্বপন কুমার দাস। বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন আহমেদ জুনায়েদ তন্ময়, তানজিল আহমেদ তালুকদার, আতিকুর রহমান সেতু, রুমন হাসান, ডা. জান্নাতুন নাঈম চঞ্চল । অনুষ্ঠানের সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন ময়মনসিংহ কমার্স কলেজের শিক্ষক নাহিদ মন্ডল।
সেমিফাইনালে অংশ নেয়া চারটি দল হলো- ময়মনসিংহ জিলা স্কুল, বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গভর্মেন্ট ল্যাবরেটরী হাই স্কুল ও মুকুল নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়।