আম্বালা ফাউন্ডেশনের ২ কর্মীর পরকীয়া,বিচার চেয়ে স্বামীর অভিযোগ
তিন বছরের অবুঝ সন্তান ও সাজানো সংসার ফেলে সহকর্মীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছেন আম্বালা ফাউন্ডেশনের কর্মী মিতু আক্তার। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্বামী সাগর আহমেদ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও সঠিক বিচার না পাওয়ার দাবি করেছেন। উল্টো অভিযুক্ত ও তাদের সহযোগীদের মারধরের শিকার হয়ে বর্তমানে সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পরকীয়া প্রেমিক রিয়াদ হোসেন একই প্রতিষ্ঠানের ক্রেডিট অফিসার হিসেবে কর্মরত। আম্বালা ফাউন্ডেশনের নরসিংদী জেলার কাপাসিয়া এরিয়া দোলন বাজার শাখায় চাকরির সুবাদে মিতু ও রিয়াদের পরিচয় হয়। সেখান থেকেই তাদের সম্পর্কের সূত্রপাত, যা বর্তমানে অবৈধ সম্পর্কে রূপ নিয়েছে।
ভুক্তভোগী স্বামী সাগর আহমেদ জানান, মিতুর সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সাজানো সংসারে তিন বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তিনি বলেন, “মিতু তার সহকর্মী রিয়াদের প্রেমে মজে আমার সাজানো সংসার তছনছ করে দিয়েছে। আমি আম্বালা ফাউন্ডেশনের ম্যানেজার মিল্টন সাহেবকে বিষয়টি জানাই। কিন্তু তিনি আমাকে কোনো সহযোগিতা না করে উল্টো তাদের দুজনকে অফিসের দুতলায় একত্রে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।”
সাগর আরও অভিযোগ করেন, “বিচারের দাবি নিয়ে গেলে তারা আমাকে মারধর করে পাঁজরের একটি হাড় ভেঙে দিয়েছে। আমি মিতু আক্তার, রিয়াদ হোসেন ও ম্যানেজার মিল্টনসহ যারা এই অনৈতিক কাজে সহযোগিতা করেছে, তাদের সবার বিচার চাই।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিতু আক্তারের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অন্যদিকে অভিযুক্ত রিয়াদ হোসেন বলেন, “আমি এখন অফিসে কাজ করছি, আপনার সাথে পরে কথা বলব।”
আম্বালা ফাউন্ডেশন কাপাসিয়া শাখার ম্যানেজার মিল্টন মারধরের বিষয়টি আংশিক স্বীকার করে বলেন, “সন্তান রেখে পরকীয়া করলে তাদের বিচার হওয়া উচিত। আমি সাগরকে মারিনি, কেবল দু-একটা চড় দিয়েছিলাম। তবে সবার সামনে রিয়াদ তাকে লাথি মেরেছিল।”
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক বিভাগ জানায়, অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে এবং নৈতিকতা বহির্ভূত কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।