ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে আবুল কাশেম(৫৫) নামের
এক হতদরিদ্র কৃষকের দুটি গরু পুড়ে মারা গেছে। এ সময় তার অপর একটি গরু পোড়ে মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছে। গবাদিপশুদের আগুন থেকে রক্ষা করতে গিয়ে কৃষকের স্ত্রী সুফিয়া খাতুনও অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। এতে আগুনে গরু পোড়েনি, পুড়ে গেছে যেন দরিদ্র কৃষকের স্বপ্নটাই।
গত শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে আনুমানিক ২ টার দিকে উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের ০২ নং ওয়ার্ডের থুলিয়াটি গ্রামের আবুল কাশেমের বাড়িতে লাগার এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় মেম্বার খোকন ফকির।
স্থানীয়রা জানান, আবুল কাশেম একজন হতদরিদ্র কৃষক। কৃষি ফসল উৎপাদন, গরু পালন করে কোনোরকম জীবনযাপন করতেন। শুক্রবার রাত দুইটার দিকে স্থানীয় লোকজন হঠাৎ আবুল কাশেমর বাড়ি থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।পরে স্থানীয়রা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে কৃষক আবুল কাশেমের গোয়ালে থাকা দুটি গরু পুড়ে মারা যায় যায় এবং অপর একটি গরু পুড়ে মারাত্মক ভাবে আহত হয়। গরুদের আগুন থেকে রক্ষা করতে গিয়ে কৃষকের স্ত্রী সুফিয়া খাতুনও গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এবিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার স্টেশন অফিসার দেওয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ইউনিট
ঘটনাস্থলে যাওয়ার মাঝ পথে ফোন আসে এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।পরে মাঝ পথ থেকেই ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ফিরে আসে।
ক্ষতিগ্রস্ত আবুল কাশেম বলেন, ‘ আগুনে আমার সব শ্যাষ করে দিছে। আমার বউয়ের শরীরও আগুনে পোড়ে গেছে। একথা বলেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।’
স্থানীয় মামুন মিয়া ও সুমন ফকির বলেন, অগ্নিকাণ্ডে কৃষক আবুল কাশেমের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। দুটি গরু মারা গেছে, আরেকটি গরুও মৃত্যুর পথে। দুটি ঘর ও কৃষকের স্ত্রীও আগুনে দগ্ধ হয়েছেন।এখন তিনি সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জেলা পরিষদ, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে আর্থিক সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। অগ্নিদগ্ধ কৃষককের স্ত্রীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।