রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বাকৃবির নতুন সিন্ডিকেট কমিটি সদস্য বিনার মহাপরিচালক বইলর-ধানীখোলা আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামা’য়াতের উদ্যোগে ইসলামী মহাসম্মেলন নারীর প্রতি সবধরনের নির্যাতন বন্ধ করে শান্তি ও  নিরাপত্তার জন্য সকলে মিলে সর্বত্র কাজ করতে হবে আত্মোন্নতির জন্য পরিশ্রম ও উদ্যমের কোনো বিকল্প নেই গোটা কুরআন আমাদের কর্মসূচি এটা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না- অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ঈশ্বরগঞ্জে ছাত্রদলের বিক্ষোভ ময়মনসিংহে স্বামীকে হত্যায় পরকিয়া প্রেমিকসহ স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের ’শিক্ষক সম্মেলন-২০২৪’ অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌর জামায়াতের কর্মী কর্মশালা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াতের সাংগঠনিক থানা শাখার আমীরগণের শপথ অনুষ্ঠান

আত্মোন্নতির জন্য পরিশ্রম ও উদ্যমের কোনো বিকল্প নেই

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৩৬ বার পড়া হয়েছে

আত্মোন্নতির জন্য পরিশ্রম ও উদ্যমের কোনো বিকল্প নেই। মানুষকে জীবনে বেঁচে থাকার প্রয়োজনে কোনো না কোনো কাজ বা কর্ম করতে হয়।কর্মহীন, আলস্য মানুষের জীবনে দুঃখ, কষ্ট ও দুর্দশার অন্ত নেই। তাই জীবনকে সুন্দর, মহৎ ও উন্নত করতে পরিশ্রমের বিকল্প কিছুই নেই। আমাদের দেশের শিক্ষিতরা মনে করে কোনোরকমে একটা চাকরি সংগ্রহ করে সমাজের মধ্যে একটা আসন প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই হলো। সেটা সৎ, অসৎ ও মিথ্যা যে কোনো উপায়েই হোক। অথচ সৎ পন্থা, মনের স্বাধীনতা রক্ষা করে ও পরের গলগ্রহ না হয়েও সম্মান নিয়ে জীবিকা নির্বাহের অনেক উপায় আছে।

ব্যবসা করা, ছোট হোক-বড় হোক, স্বাধীন কাজে মানুষ ছোট হয় না,বরং মিথ্যা -প্রবঞ্চনার কারণেই হীন হয়। সৎ উপায়ে ব্যবসা করলে কখনো আত্মার পতন হয় না।আলস্য, অসাধুতার কারণেই আত্মার পতন সুনিশ্চিত। পরিশ্রম ও চেষ্টার কারণে সব বাধাই পানি হয়ে যায়।যে ব্যক্তি পরিশ্রমী তার দুঃখ নাই।চেষ্টা না করলে জগতে কোনো মানুষ আত্মপ্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারে না।তাই নিজের সার্বিক উন্নয়নের জন্য পরিশ্রম, চেষ্টা আন্তরিকতা খুব -ই জরুরি।

এ জগতে যারা নিতান্ত আনাড়ি তারা মাসে মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছে শুধু পরিশ্রম ও চেষ্টায়। পরিশ্রমী, উদ্যমী আত্মপ্রত্যয়ীদের দ্বারাই এ বিশ্বসভ্যতা এগিয়ে চলছে।কাজ ছোটো হোক,বড় হোক মন-প্রাণ দিয়ে করলে,কোনো রকম ফাঁকি না করলে এ কাজ সুন্দর হতে বাধ্য। আত্মোন্নতির অন্যতম প্রধান অংশ দৃষ্টি ও মনোযোগী। প্রসঙ্গত,এক ভদ্রলোকের খানিক জমি ছিল।জমিতে কোন লাভ তো হতোই না বরং লোকসান হচ্ছিল। জনৈক ব্যক্তি নামেমাত্র জমিগুলো লিজ নিলেন।কয়েক বছর পর ইজারাদার জমির মালিককে বললেন,জমিগুলো বিক্রি করেন,তাহলে আমাকেই দিয়েন।সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমি এই কয় বছরে অনেক টাকা জমা করতে পেরেছি।সত্যি ইজারাদার খুবই পরিশ্রমী। তাই তার জীবনের উন্নতি হয়েছে। সময়ের সদ্ব্যবহার যাঁরা করেন তাঁরা উন্নতি করবেই।জীবনকে উন্নত করা যায় কাজ করে,আলস্য সময় কাটিয়ে নয়।উদাহরণ স্বরূপ যদি কেউ প্রতিদিন এক ঘন্টা করে সময় নষ্ট করে,তবে বছরান্তে অবহেলায় কত সময় নষ্ট হয়েছে। অপরদিকে এক ঘন্টা করে কাজ করলে বছর শেষে, এমনকি মাসে কত কাজ হয়েছে তা দেখেই অবাক হতে হয়!জীবনের অন্তে যদি কেউ বলে ‘জীবনে কী করলাম? কিছু হলো না! তাতে কী লাভ হবে?কোন কাজের শুরুতে ভেবে নেওয়া উচিত কোন কাজ কার জন্য উপযোগী! কোন কাজে আত্মতৃপ্তি বেশি।সততা,সাধুতা ও কষ্ট সহিষ্ণু করে যাঁরা কাজ করেন তাঁরাই উন্নতি করতে পারেন।পরিশ্রমের দ্বারা জীবনে উন্নতি সম্ভব। সেটা,ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি -বাকরি,কৃষি-কাজ ও উদ্যোক্তা যেটার দ্বারাই হোক।মিথ্যা, শঠতা,প্রবঞ্চনা ও জুয়াচুরি দ্বারা জীবনে আত্মপ্রতিষ্ঠা সম্ভব না।ব্যবসা ভালো কাজ এর ভেতরে কোনো অমর্যাদা নেই। মিথ্যা, অসাধুতায় ও আলস্যের মধ্যেই অগৌরব নিহিত। শিক্ষিত ব্যক্তি যে কোনো কাজই করুক না কেনো? তার সম্মান,অর্থ দুই-ই লাভ হবে।

তাই কাজের ক্ষেত্রে কোনো অসম্মান,অগৌরব নেই বরং মিথ্যা, ভণ্ডামি, গোলামী ওপরাধীনতার মধ্যে জীবন লাঞ্চিত ও অপমানিত।তাই পরিশ্রম করবো নিজের জীবন নিজেই গড়বো-এই হোক আত্মপ্রত্যয়।

Please Share This Post in Your Social Media

আরও পড়ুন