চট্টগ্রামের পিচ ব্যাটিংয়ের জন্য বরাবরই ভালো। কিন্তু এই সুবিধা খুলনা টাইগার্স এবং রংপুর রাইডার্স কাজে লাগাতে পারল কমই! দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে ম্যাচটা হয়েছে লো স্কোরিং। রোমাঞ্চ ছড়িয়ে ম্যাচের শেষ হাসি হেসেছে রংপুর রাইডার্স। আগে ব্যাটিং করে ১৩০ রান তুলেছিল খুলনা। পরে শেষ ওভারে গিয়ে ৪ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছে রংপুর।
নবম বিপিএলে তিন ম্যাচে রংপুরের এটা দ্বিতীয় জয়। অপর দিকে তিন ম্যাচ খেলে তিনটিতেই হারল খুলনা টাইগার্স। চট্টগ্রামের ব্যাটিং সহায়ক পিচে নবম বিপিএলে চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে রান উঠেছেও। ফরচুন বরিশাল ২০২ রান তুলেছে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে রান উঠল না। তাতে দুই দলের ব্যাটারদের দায়ই অবশ্য বেশি! বাজে শটে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন ব্যাটাররা।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১৩০ রানের জবাব দিতে নেমে দলীয় ১ রানের মাথায় ফর্মে থাকা ওপেনার রনি তালুকদারকে হারায় রংপুর। অপর ওপেনার সাইম আইয়ুব ৯ বলে ১০ ও তিনে নামা মেহেদি হাসান ১২ বলে ১০ রান করে ফিরেছেন। ওপেনার নাঈম শেখকে নামানো হয়েছিল চার নম্বরে। খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি অনেকদিন জাতীয় দলে খেলা তরুণ ওপেনার। ২২ বলে ২১ রান করে ফিরেছেন।
দলীয় ৯০ রানের মাথায় অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে ১৮ বলে ১০ রান করে ফিরলে বড় চাপেই পরে রংপুর। কারণ ততক্ষণে ১৭ ওভারের খেলা শেষ। সেখান থেকে শোয়েব মালিকের ব্যাটে এগিয়েছে রংপুর। পাকিস্তানের ৪০ বছর বয়সী অলরাউন্ডার একপ্রান্ত আগলে রেখে এগিয়ে নিয়েছেন দলকে।
শেষ দিকে চড়াও হয়ে বলের সঙ্গে রানের ব্যবধান কমিয়েছেন। শেষ ফিনিশিংটা অবশ্য দিতে পারেননি শোয়েব। দলীয় ১২৩ রানের মাথায় ৩৬ বলে ৪৪ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। বাকি কাজটা সেরেছে তরুণ বাংলাদেশি অলরাউন্ডার শামীম পাটোয়ারি। ১০ বলে ১৬ রান করেছেন তিনি। ৪ বলে ৮ রান করা আজমতউল্লাহ উমারজাইও দলের জন্য বড় অবদান রেখেছেন।
খুলনার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ওয়াহাব রিয়াজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও নাসুম আহমেদ।
এর আগে খুলনাকে ১৩০ রানে আটকে রাখাতে বড় অবদান রংপুরের পেসার রবিউল হাসানের। ৪ ওভারে ২২ রান খরচায় চার উইকেট নিয়েছেন তিনি। আগে ব্যাটিং করতে নেমে দলীয় ১৪ রানে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও শারজিল খানকে হারায় খুলনা। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আজম খান আজ ২৩ বলে ৩৪ করেছেন। অধিনায়ক ইয়াসির আলি রাব্বি ২২ বলে ২৫ রান করেন। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোর মধ্যে শেষ দিকে ১৮ বলে ২২ রান করে খুলনাকে ১৩০ পর্যন্ত নিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
১৯.৪ ওভারে ১৩০ রানে গুটিয়ে গেছে খুলনা। রংপুরের অন্য বোলারদের মধ্যে আজমতউল্লাহ উমারজাই, হাসান মাহমুদ ও রাকিবুল হাসান দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।