বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় দিনে এসে দেখা মিললো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ছোঁয়ার। সাকিব আল হাসানের ব্যাটিং ঝড়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ১৯৪ রানের পাহাড় গড়ে ফরচুন বরিশাল। পাহাড়সম রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৬ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের দুর্দান্ত জয় তুলে নেয় সিলেট স্ট্রাইকার্স।
১৯৫ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্তর ৪৮ রানের পর তাওহিদ হৃদয়ের ৩৪ বলে ৫৫ আর জাকির হাসানের ১৮ বলে ৪৩ রানে ভর করে জয়ের বন্দরে নোঙর করে সিলেট।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও চতুরাঙ্গা ডি সিলভা শুরুতেই দ্রুত রানে তুলতে চেয়েছেন। পরে মাঝের ওভারগুলোতে সিলেটের বোলারদের স্রেফ কচুকাটা করেছেন সাকিব।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু থেকেই ঝড় তুলতে চেয়েছে বরিশাল। মাশরাফি বিন মুর্তজার প্রথম ওভার থেকে ১৫ রান তুলে নেন বরিশালের দুই ওপেনার। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৫৪ রান তুলেছেন দুজন।
দলীয় ৭৩ রানের মাথায় মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে সীমানায় ক্যাচ দেন ২১ বলে ২৯ রান করা এনামুল হক বিজয়। চতুরঙ্গা ফিরেছেন ২৫ বলে ৬টি ১টি ছয়ে ৩৬ রান করে। তারপর সাকিব ঝড়।
প্রথম ৪ বলে ১ রান নেওয়া সাকিব দশম ওভারে কলিন অ্যাকারম্যানকে দুই ছক্কা মেরে ঝড় শুরু করেন। তারপর পেস, স্পিন দুই বোলারদেরই রীতিমতো নাচিয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। অবশ্য এতে সিলেটের ফিল্ডারদের দায়ও আছে। সাকিবের দুটি সহজ ক্যাচ ছেড়েছে তারা।
সাকিব ঝড় শেষ পর্যন্ত থেমেছে একদম ইনিংসের শেষ ওভারে গিয়ে। ফেরার আগে ৬৭ রান করেছেন মাত্র ৩২ বল খেলে। চার মেরেছেন ৭টি, ছক্কা ৪টি। বরিশালে বড় স্কোরে অবদান রেখেছেন মাহমুদউল্লাহ, করিম জানাতরাও। মাহমুদউল্লাহ পাঁচে নেমে ১২ বলে ১৯ রান করেছেন। করিম জানাত ১২ বলে ১৭ রান করেছেন। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯৪ রানে থেমেছে বরিশাল।
সিলেটের হয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজা তিন উইকেট নিলেও চার ওভারে খরচ করেছেন ৪৮ রান। একটি করে উইকেট নিয়েছেন থিসারা পেরেরা, ইমাদ ওয়াসিম ও রেজাউর রহমান রাজা।