মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭:১৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ঈশ্বরগঞ্জে বোরো ধানের সমলয় প্রদর্শনীর ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস পালন ঈশ্বরগঞ্জে ফ্যানের বাতাসে ধান উড়ানোর সময় বিদ্যুৎপৃষ্টে কৃষাণীর মৃত্যু হিট স্ট্রোক আপদ- আ শ মামুন আ.লীগের সংবর্ধনায় সিক্ত ব্যারিষ্টার উম্মি ফারজানা ছাত্তার, দিলেন স্মার্ট ঈশ্বরগঞ্জ বিনির্মানের প্রতিশ্রুতি বাবাদের কাঁধে সন্তানের লাশ, ছেলের মুখ থেকে বাবা ডাক শোনা হলো না শাহ্ আলমের নানা আয়োজনে ঈশ্বরগঞ্জে প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত ঈশ্বরগঞ্জে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ঈদের নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা ঈশ্বরগঞ্জে সেলাইমেশিনসহ ঈদ উপহার পেল ২৩০ পরিবার এতিম শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করলো “জনতার ঈশ্বরগঞ্জ”   

রাজস্ব খাতের টাকা লুটপাটের অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

এহসানুল হক, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
  • আপডেট : বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩
  • ২৬৬ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খান সেলিমের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন ও রাজস্ব খাতের টাকা লুটপাটের অভিযোগ করেছেন সাত ইউপি সদস্য। মঙ্গলবার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে পৃথক ২টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তারা।

অভিযোগকারী ইউপি সদস্যরা হলেন- মো.দুলাল মিয়া, মো. আবুল বাশার, আকরাম হোসেন, মো. শহিদ মিয়া, সাইফুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম ও সংরক্ষিত নারী সদস্য তাসলিমা আক্তার।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৯নং উচাখিলা ইউনিয়নের সদস্যগণ নির্বাচিত হওয়ার পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারী শপথ গ্রহণ করেন। শপথের তিন মাসের মধ্যে প্যানেল চেয়ারম্যান গঠনের নিয়ম থাকলেও অদ্যবধি তিনি প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন করেননি। তবে ৩০ আগস্ট মাসিক মিটিং এর মাধ্যমে প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এতে একাধিক প্রার্থী থাকায় ইউপি সচিবের মাধ্যমে নির্বাচনের তারিখ জানানো হবে বলে সদস্যদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেয়া হয়। পরবর্তীতে সদস্যগণ জানতে পারেন ৩০ আগস্টেই সদস্যদের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে স্বাক্ষর নিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন করা হয়েছে।

অপর এক অভিযোগে জানা যায়, ইউনিয়নের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের কাজে চেয়ারম্যানের সাথে একমত হতে পারেন না সদস্যগণ। বিশেষ করে ইউনিয়নের হাট বাজারের রাজস্ব, পরিষদের নিজস্ব রাজস্ব ও ১% এর টাকা কোথায় কোন খাতে ব্যয় করা হয় তা সদস্যগণ জানতে পারেন না। এবিষয়ে ইউপি সচিব মো. হুমায়ুন কবিরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি নিজেও কিছুই জানি না। বিষয়টি নিয়ে মাসিক মিটিং এ চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান জানান, এসব বিষয় আপনাদের জানার অধিকার নেই। এতে করে ইউপি সদস্যগণ ধারণা করছেন উক্ত রাজস্বের টাকা ভুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে চেয়ারম্যান লুটপাট করছেন।

এবিষয়ে ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদ মিয়া বলেন, চেয়ারম্যান পরিষদের নিজস্ব রাজস্ব খাতের টাকা কোথায় কোন খাতে ব্যয় করা হয় তা আমরা জানি না। আমরা যদি এবিষয়ে জানতে চাই তাহলে চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের এসব বিষয়ে জানার কোন অধিকার নেই। এছাড়া আমরা অধিকাংশ সদস্য মিলে যাকে প্যানেল চেয়ারম্যান মনোনীত করেছি চেয়ারম্যান তা প্রত্যাক্ষান করে নিজের পছন্দের একজনকে মনোনীত করেছেন যাতে তারা জনগণের টাকা লুটপাট করে খেতে পারে।

অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খান সেলিম বলেন, প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন সম্পর্কে পরিষদে মিটিং হয়েছে। ৬জন প্রার্থী থাকায় পরবর্তী ২দিনের মধ্যে ইউপি সচিবের কাছে জানানোর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা কেউ কোন কিছু জানায়নি। পরে জরুরী প্রয়োজনে প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন করা হয়েছে। এছাড়া সবকিছু নিয়ম মেনেই করা হচ্ছে। প্রকল্প যখন আসে তখন সদস্যদের মিটিং এ ডাকা হয় কিন্তু তারা মিটিং এ উপস্থিত হন না। তাকে অপদস্ত করতেই এ ধরনের অভিযোগ দিয়েছেন কয়েকজন সদস্য।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তাঁদেরকে নিয়ে বসা হবে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

আরও পড়ুন