শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংসদ সদস্যের মানবিক উদ্যোগ: বাবার কষ্ট দেখে অসহায়দের কষ্ট দূর করতে হুইল চেয়ার বিতরণ দরিদ্রদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবায় সূর্যেরহাসি-র ‘ফ্রি হেলথ ক্যাম্প’ চাচা শ্বশুরের হাতে গৃহবধু খুন, পুকুরে ঝাপ দিয়ে প্রাণ রক্ষা স্বামীর কৃষক হত্যা মামলায় নারীসহ ৩ আসামির যাবজ্জীবন ময়মনসিংহে সাপের কামড়ে গৃহবধুর মৃত্যু বাসে উঠতে হিজড়াদের ধাক্কাধাক্কি, পড়ে গিয়ে পিছনের চাকায় পিষ্ট বৃদ্ধ ঈশ্বরগঞ্জকে আধুনিক ও স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়তে চান রাসেল আমি জনতার চেয়ারম্যান,জনগণের খাদেম হয়েই কাজ করব: প্রদীপ গ্রামে ঢুকে বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর, ২ জনকে কুপিয়ে হাসপাতালে ঈশ্বরগঞ্জে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নতুন কমিটি: সভাপতি মনিরুল, সম্পাদক আনোয়ার

ঈশ্বরগঞ্জে ভাঙনের মুখে দক্ষিণ চর আলগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

এহসানুল হক, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
  • আপডেট : রবিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৩৫৭ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে গত ৫০ বছরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড পরিমাণ অবিরাম বর্ষণে ব্রহ্মপুত্রে বেড়েছে পানি। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও ব্রহ্মপুত্র নদের প্রবল স্রোতে তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে।

ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের চর আলগী(আতকাপাড়া) গ্রামের বটতলা মোড় সংলগ্ন অবস্থিত ১০১ নং দক্ষিণ চর আলগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের মুখে রয়েছে। যেকোনো দিন বিদ্যালয়টি ধসে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভাঙনের কবলে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে বিদ্যালয়টি।

বিদ্যালয় সূত্র জানায়, দক্ষিণ চর আলগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৭৪ সালে স্থাপিত হয়। বিগত কয়েক বছরে বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হারও বেশ সন্তোষজনক। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ২০৬ জন শিক্ষার্থী ও ছয়জন শিক্ষক আছেন। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রায় এক কোটি টাকা ব্যায়ে বিদ্যালয়ে তিন তলা বিশিষ্ট একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়। এতে আটটি কক্ষ রয়েছে। এই ভবনসহ পুরো স্কুলটি এখন হুমকির মুখে রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দক্ষিণ চর আলগী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি পাকা ভবনে আটটি কক্ষ রয়েছে। কিন্তু ব্রহ্মপুত্র নদের প্রবল স্রোত ও টানা বৃষ্টিতে ভাঙতে ভাঙতে একেবারে ভবনের পাশে চলে এসেছে। বিদ্যালয়টির দেয়ালে দেখা দিয়েছে কয়েকটি ফাটল। ইতোমধ্যে ভাঙনে সরে গেছে স্কুল মাঠের মাটি। মাঠ ও ভবনের পাশ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় যেকোন সময় ভাঙেনে মুখে পড়তে পারে স্কুলটি।ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

বিদ্যালয়টি রক্ষায় বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ও জমিদাতা জহিরুল ইসলাম রিপন,স্থানীয় ব্যবসায়ী মাহবুব আলমসহ এলাকাবাসী জানান, স্কুলটি রক্ষায় ভাঙন কবলিত স্কুলের চারপাশে দ্রুত বালুর বস্তা দিয়ে ডাম্পিং করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তা না হলে যে কোনো মুহূর্তে স্কুলটি ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফাহিম মিয়া বলে, ‘আমাদের স্কুলটি ভেঙে যাওয়ার পথে, সরকার যদি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে আমাদের স্কুল বেঁচে যাবে। আর স্কুল ভেঙে যাবে ভাবলেও খুব কষ্ট পাই।’ তার কথার প্রতি সমর্থন জানায় অনিক, আঁখি আক্তার, জিনিয়া ইসলাম মুন, সুমাইয়া রহমানসহ স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থী।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম জানান,স্কুলের একপাশ থেকে মাটি সরে গিয়েছে ও কয়েকটি জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। যেকোন সময় ভবন ধসে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা খুব উৎকণ্ঠার মধ্যে আছি। বিদ্যালয় রক্ষার জন্য আমরা স্কুলের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকেও মৌখিকভাবে বিষয়টি অবহিত করেছি। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন।

এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নীলুফার হাকিম বলেন, বিদ্যালয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছেন এবং উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়দের সাথেও কথা হয়েছে। সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে বসে এবিষয়ে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. হাফিজা জেসমিনের সাথে মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে হোয়াটসঅ্যাপ ক্ষুদ্রে বার্তা পাঠিয়ে তিনি নিশ্চিত করেছেন তিনি জেলায় মিটিং এ আছেন। তবে স্কুলের বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপ চানতে চেয়ে মেসেজ দিলে সিন করার পরেও তিনি আর কোন রিপ্লাই দেননি।

Please Share This Post in Your Social Media

আরও পড়ুন