বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াতের মজলিসে শূরার প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকান্ড, হতাহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা ইন্ট্রাকো এলপিজি’র কটিয়াদির জালালপুর ইউনিয়ন জামায়াতের দাওয়াতী জনসভা অনুষ্ঠিত আবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হতে চাচ্ছেন যেটা কখনোই সম্ভব নয়- প্রিন্স ‘হোন্ডা মোবাইল টিমে’ তৎপর পুলিশ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচিতে জনতার ঢল গৌরীপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র‌্যালি কটিয়াদী জামায়াতের উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ফুলবাড়ীয়ায় জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত অতিরিক্ত সঞ্চয়ের নেশাই আমাদের জীবনের অশান্তির মূল কারণ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এখন সকল দলের চেয়ে জনপ্রিয়- এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ

আব্দুল বারী, ময়মনসিংহ সংবাদদাতা
  • আপডেট : শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে
রুকন সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেনে এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামের একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে, আনুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন এখানে চালু করতে হবে। ইতোমধ্যে সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, সামরিক, বেসামরিক, আমলা, সচিব সবাই জামায়াতকে স্বাগত জানাচ্ছে। একটি রাজনৈতিক দল চারটি কারণে জনপ্রিয়তা অর্জন করে। গুন্ডামি এবং মাস্তানির মাধ্যমে কোন রাজনৈতিক দলের জনপ্রিয়তা হয় না। আজকে আওয়ামী লীগ এই চরিত্রের কারণে জনগণের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। আর গোটা জনগণ তাদের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ কোন মানুষের দল ছিল না এটা মাস্তানি, চাঁদাবাজি আর মানুষের অধিকার হরণের দলে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু জামায়াত বাংলাদেশের জনপ্রিয় হয়েছে। আগামী দিনে সরকারে যাওয়ার মত আসন লাভ করবে ইনশাআল্লাহ। সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এখন সকল দলের চেয়ে জনপ্রিয়।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে নগরীর টাউন হলে তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ময়মনসিংহ মহানগরীর রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মহানগর জামায়াতের আমীর মাওলানা কামরুল আহসান এমরুলের সভাপতিত্বে মহানগর সেক্রেটারী অধ্যাপক শহীদুল্লাহ কায়সারের সঞ্চালনায় উক্ত রুকন সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, দল হিসেবে তিনটি ক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামীর অবদান অনেক বেশি। আজ পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল কোন থিওরি দিতে পারে নাই রাজনৈতিকভাবে। নির্বাচন পদ্ধতিটা কি হবে কোন রাজনৈতিক দল এটা দিতে পারে নাই। দিয়েছিল একমাত্র জামায়াতে ইসলামী কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি। আজকে সকল রাজনৈতিক দল এটার দিকে ফিরে আসছে। জাতীয় অবদানের ভিত্তিতে বাংলাদেশে জামায়াত এক নাম্বারে আছে। বাংলাদেশ ব্যাংক, হাসপাতাল সহ সকল ক্ষেত্রে সমাজে জামায়াতের ব্যাপক অবদান রয়েছে। অন্যায়, জুলুম, নির্যাতন বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলায় যে দল বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখে জামায়াতকে বাংলাদেশের মানুষ সেই জায়গায় রেখেছে।

বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আগামীতে এদেশে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরিকারী শক্তি হলো জামায়াত। জামায়াতকে এ দেশের মানুষ বেছে নিবে ইনশাআল্লাহ। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর স্বৈরাচার সরকারের পতনের মাধ্যমে বাংলাদেশে নতুন সুযোগ এসেছে। আমাদের সেই সুযোগ কাজ লাগাতে হবে। প্রত্যেক মানুষের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। ইসলামের আইনে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও ময়মনসিংহ অঞ্চল পরিচালক ড. সামীউল হক ফারুকী বলেন, এক প্রকৃত মুসলিম হতে হলে নিজের জানমাল আল্লাহর পথে উৎসর্গ করতে হবে। জনগণকে সংগঠিত করে দ্বীন কাজকে চালিয়ে যেতে হবে। এজন্য আমাদের কর্মী রুকন বৃদ্ধি করতে হবে। প্রতিটি মহল্লায় আমাদেরকে ইউিনট গঠন করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী একটি নৈতিক আন্দোলন। আল্লাহর সাহায্যের উপর আমাদের নির্ভশীল হতে হবে। একদল দক্ষ যোগ্য সৈনিক তৈরি করতে হবে। আমাদের প্রত্যককে ঈমানী বলে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। জামায়াতে ইসলামীর লোকদের নৈতিক চরিত্র সমাজে বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের দেশে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে একটি নতুন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আমাদেরকে ত্যাগ এবং কোরবানির জন্য এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের প্রতিটা সময় যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। আল্লাহ মুমিনদের জানমাল জান্নাতের বিনিময়ে খরিদ করে নিয়েছেন। ইসলামকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করার জন্য নিজেদের জানমাল মাল দিয়ে কাজ করতে হবে।

ময়মনসিংহ জেলা জামায়াতের আমীর ও ময়মনসিংহ অঞ্চল টিম সদস্য মোঃ আবদুল করিম বলেন, আমরা আল্লাহ দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য শপথ নিয়েছি। দ্বীন বিজয়ী করার চিন্তা মাথায় নিয়ে কাজ করতে হবে। সাধারণ মানুষের আকাঙ্খা দ্বীন বিজয়ের পর সমাজ ব্যবস্থা কেমন হবে, সেই পেরেশানি নিয়ে কাজ করতে হবে। সকলের অবস্থান থেকে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য ওয়ার্ড থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এর পাশাপাশি কোরআন হাদীস ও ইসলামি সাহিত্য ভালোভাবে অধ্যয়ন করতে হবে। আমার সকল কাজ যেন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হয়। সকলের প্রতি অনুরোধ, আসুন আমরা বাংলাদেশকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলি।

মহানগর নায়েবে আমীর আসাদুজ্জামান সোহেল বলেন, সর্বদা সাংগঠনিক শৃংখলা মেনে চলতে হবে। কোন রুকন সাংগঠনিক এরিয়ার বাহিরে যাওয়ার প্রয়োজন হলে আমীর, সেক্রেটারি বা দায়িত্বশীলকে অবগত করে যেতে হবে। সংগঠনের নিয়ম পরিপন্থী কোন কাজ করা যাবে না। সবাইকে রিপোর্ট মান ঠিক রেখে সাংগঠনিক কাজ চালিয়ে যেতে হবে।

রুকন সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সহ-সেক্রেটারি মাহবুবুল হাসান শামীম, আনোয়ার হাসান সুজন, সাংগঠনিক সম্পাদক আল হেলাল তালুকদার, বায়তুলমাল সম্পাদক গোলাম মহসীন খান, কর্মপরিষদ সদস্য ডাঃ আব্দুল আজিজ, মোঃ হায়দার করিম, খন্দকার আবু হানিফ, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বারী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক থানা শাখার আমীর ও সভাপতি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

Please Share This Post in Your Social Media

আরও পড়ুন