বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াতের মজলিসে শূরার প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকান্ড, হতাহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা ইন্ট্রাকো এলপিজি’র কটিয়াদির জালালপুর ইউনিয়ন জামায়াতের দাওয়াতী জনসভা অনুষ্ঠিত আবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হতে চাচ্ছেন যেটা কখনোই সম্ভব নয়- প্রিন্স ‘হোন্ডা মোবাইল টিমে’ তৎপর পুলিশ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচিতে জনতার ঢল গৌরীপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র‌্যালি কটিয়াদী জামায়াতের উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ফুলবাড়ীয়ায় জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত অতিরিক্ত সঞ্চয়ের নেশাই আমাদের জীবনের অশান্তির মূল কারণ

অতিরিক্ত সঞ্চয়ের নেশাই আমাদের জীবনের অশান্তির মূল কারণ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেট : শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৬১ বার পড়া হয়েছে
ছবি- ইন্টারনেট।

মানুষের জীবনে টাকার চাহিদা অনেক বেশি।ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, কৃষিজীবী তথা সকল পেশার মানুষ -ই কিছু না কিছু অর্থ সঞ্চয় করে রাখতে চায়।প্রবীন চাকরিজীবীরা নবীন চাকরিজীবীদের চাকরির শুরুতেই সঞ্চয়ের গল্প শুনান। ব্যাংক -ব্যালেন্স, বাড়ি-গাড়ি, জায়গা-জমি এত টাকা একাউন্টে জমা আছে। এটা শুনে নবীন চাকরিজীবীরা ও চাকরির শুরুতেই অতিরিক্ত সঞ্চয় নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন;এতে ব্যক্তিগত অস্থিরতা ও বাড়ে।পরিবারের সময় ছিনিয়ে নিয়ে সম্পদ সঞ্চয় করা শুরু করলেন। এক্ষেত্রে মনে রাখা ভালো, সামর্থ্যের অতিরিক্ত সঞ্চয় জীবনকে সহজ করে না বরং জটিল ও করে।পাশাপাশি মানসিক দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা বাড়ায়। সেই সাথে অতিরিক্ত সঞ্চয়ের মনোবৃত্তির কারণে অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করেন। যেমন ষুষ, দুর্নীতি, অনৈতিক কাজ ইত্যাদি। নীতি-নৈতিকতার কবর রচনা করে সঞ্চয় সঞ্চয় খেলা করে পরকালীন জীবন ও অনিশ্চিত হয়। বিশেষ করে এই অসুস্থ প্রতিযোগিতা আমাদের মনুষ্যত্বকে, পাপাচার, অনৈতিক, সাদা -কালো,বৈধ-অবৈধ বাছ-বিচারের বোধশক্তি হারায়।

সঞ্চয় মূলত সন্তানের জন্যই করা হয়।কেননা যারা করেন তাদের মধ্যে খুব কম মানুষ -ই ভোগ করতে পারে না। সন্তানের জন্য সম্পদ সঞ্চয়ের চেয়ে শিক্ষা, সুশিক্ষা, ধর্মীয় আচার, নীতিশিক্ষা, ও মানবিক শিক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি। সন্তান আদর্শ মানুষ হলে তার চেয়ে বড় সঞ্চয় আর নেই। নীতি-নৈতিকতা ভুলে অসৎ পন্থায় শুধু টাকা কামাই কর। এক জীবনে চলতে কত টাকা লাগে?

আমরা সবাই অসুখী জীবনের জন্য প্রতিযোগিতা করছি। আমাদের যে পরিমাণ লোভ তার সিকিভাগ অর্থ -ই সুখী -সমৃদ্ধি জীবনের জন্য যথেষ্ট। অথচ মনুষ্যত্ব, ন্যায় -নীতি,ধর্মীয়-প্রথা ভেঙে সম্পদের জন্য শয়তানের সঙ্গে প্রতিদিন অসুস্থ প্রতিযোগিতা করছি। অথচ তার পরিণাম নিয়ে ভাবছি না। আমাদের সন্তানদের জন্য অসৎ পন্থায় উপার্জিত যে সম্পদ রেখে যাচ্ছি, তা আদৌ কি কাজে আসবে কি না তা নিশ্চিত না! দুর্নীতিবাজ,অভিভাবকদের সন্তানরা বিপদগামী সমাজের সাক্ষী। ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় জরুরী। তবে সেটা আয়ের সাথে সংগতিপূর্ণ হতে হবে।

সৎভাবে সম্মান নিয়ে জীবিকা নির্বাহের পরে,অপচয় রোধ করে উদ্বৃত্ত অংশ সঞ্চয় জরুরি। বিত্ত -বৈভবের অভাব নেই অথচ সন্তান মানুষ হয়নি-তাহলে এই জীবলে কী মূল্য? ভোগবাদীরা টাকাকে দ্বিতীয় ঈশ্বর কল্পনা করেন।পুঁজিবাদীরা তাতে দিয়েছে তৈল। চাহিদার সাথে সক্ষমতা থাকা জরুরি। নৈতিকভাবে দেউলিয়া সমাজব্যবস্থা সে সুযোগ রাখেনি।তারা শিখিয়েছে, যেভাবে পারো টাকা কামাই করো এবং সঞ্চয় করো।টাকার কাছে ক্ষমতা, সততা অসহায়।

লেখক :আল আমিন, প্রভাষক, হরিনারায়ণপুর ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা।

Please Share This Post in Your Social Media

আরও পড়ুন