বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ময়মনসিংহে স্বামীকে হত্যায় পরকিয়া প্রেমিকসহ স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের ’শিক্ষক সম্মেলন-২০২৪’ অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌর জামায়াতের কর্মী কর্মশালা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াতের সাংগঠনিক থানা শাখার আমীরগণের শপথ অনুষ্ঠান ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াতের মজলিসে শূরার প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকান্ড, হতাহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা ইন্ট্রাকো এলপিজি’র কটিয়াদির জালালপুর ইউনিয়ন জামায়াতের দাওয়াতী জনসভা অনুষ্ঠিত আবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হতে চাচ্ছেন যেটা কখনোই সম্ভব নয়- প্রিন্স ‘হোন্ডা মোবাইল টিমে’ তৎপর পুলিশ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচিতে জনতার ঢল

শুধু দুমুঠো ডাল-ভাতের জন্যে- আ শ মামুন

আ শ মামুন
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ২০৯ বার পড়া হয়েছে
ছবি- ইন্টারনেট।
দুমুঠো ডাল-ভাতের জন্যে একটি অর্ধ শতকের অপেক্ষায় আমি,
তবু নিষ্কৃতি মেলেনি আদৌ।
প্রথম জীবনে অগোছালো সময়েও অভাব ওতটা মাথাচাড়া দেয়নি।
তখন মাস শেষে একটি নিশ্চিত মাসোহারা আসতো নিয়মিত।
তা দিয়ে সকলের মন কিছুটা রাখতে পারতাম।
মায়ের সামনে দাঁড়িয়ে সবিনয়ে বলতাম আম্মা এই ক’টা নোট তোমার জন্য,
বাবার সবচেয়ে প্রিয় একটি ঘড়ির আবেদন রাখতে পারতাম,
সংসারে দায়িত্বশীলদের নিকট নিয়মিত একটি মানি ওয়ার্ডার করতে পারতাম।
আর এখন অনেকটা গোছালো অবস্থায়ও দুমুঠো ডাল-ভাতের নিশ্চিত সুরাহা হয়নি।
পারতাম শব্দটি এখন পারিনা প্রত্যয়ে পরিণত হয়েছে।
সংসারে এখন দামও কমেছে দ্বিগুণ।
এখন শুধুই প্রতিক্ষায় কাটে।
কবে আটপায়ের সংসারে নিশ্চিত দুমুঠো ডাল-ভাত জুটবে।
অভাবের সংসারে কবিতার কোন অভাব নেই,
কবিতা,গল্প,উপন্যাসের পান্ডুলিপি জমা হচ্ছে নিয়মিত,
কিন্তু এগুলোতো আপাতত ভাতের নিশ্চয়তা দেয়না।
তাছাড়া এইগুলো প্রকাশেরও কোন শক্তি নেই।
লোকে বলে ভাত নেই ঘরে রস বেয়ে পড়ে।
সুহৃদ সুজন সবাই কবিতায় রিয়েক্ট-কমেন্ট দেয় বটে।
যদিও একান্ত কাছের মানুষ গুলো এসব শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতিতে আমার পদক্ষেপ গুলো মোটেও আমলে নিতে রাজিনা।
তারাও ওসবের আড়ালে দুমুঠো ডাল-ভাতের নিশ্চয়তা খুঁজেন।
অবশ্য আমার ভাত- কাপড়ের দায়িত্ব আমারই।
মানিক বন্দোপাধ্যায় বলেছিলেন দুটি ডাল-ভাতের সংস্থান না হলে সাহিত্যে আসা বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে একবারে বেমানান।
মিথ্যা বলেননি কবি।
আটচল্লিশ বছরেই জীবনের সমাপ্তি করে গেছেন চরম ভাতের অভাবে।
অথচ বাংলা সাহিত্যের আকাশে পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসের এই লেখক মৃত্যুর পর আজো তাঁর নাম চির অম্লান।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় অভাবের কাছে হার মেনে ভুল করে বড় ভাইয়ের কাছে সাহায্য চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন।
চিঠির জবাবটা কারোর অজানা নয়।
আমি লেখক, কবি, সাহিত্যের কোন মানদণ্ডে না এলেও ডাল-ভাতের অভাব মানিকের মতোই।
পোশাকে পরিচ্ছদে অবশ্য বোঝার উপায় নেই।
জীবনের বাস্তবতা লিখি বলে অনেকে লজ্জা পায়।
তবে হুমায়ুন আহমেদের বাস্তব জীবনের গল্প অমৃতের মতো পড়েন।
আলমারিতে থরে থরে সযত্নে সাজিয়ে রাখেন নন্দিত নরকে,শঙ্খনীল কারাগার,শ্রাবণ মেঘের দিনে,আমাদের সাদা বাড়ীসহ অসংখ্য বই।
অধ্যাপনা রেখে টইটই করে ঘুরে বেড়িয়েছেন গোটা বাংলাদেশ, গোটা ভারতবর্ষ।
কবিতা দিয়ে শুরু করে শেষমেশ বিশ্ব কাঁপিয়েছেন এই নেত্রকোণার কবি।
আমি হুমায়ুন আহমেদ হতে চাইনা
আমি হেলাল হাফিজ হতে চাইনা
আমি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ও হতে চাইনা
আমি কাজী নজরুল ইসলাম হতেও চাইনা
আমি খুঁজি শুধু খুঁজি হয়ে হন্নে
শুধু দুমুঠো ডাল-ভাতের জন্যে।
০৫/১২/২০২৩
আউটার স্টেডিয়াম, ময়মনসিংহ।

Please Share This Post in Your Social Media

আরও পড়ুন